মহররম
মাসের ১০ তারিখ পরম করুণাময় আল্লাহ্ তাআলা লাওহে মাহফুজ এবং যাবতীয় সৃষ্ট জীবের
রূহ পয়দা করেছেন। এই দিন আল্লাহ তাআলা পৃথবী এবং ইহার অন্তর্গত নদ-নদী,
সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত (পর্বত) ও গাছ-পালা সৃষ্টি করেছেন এবং এই দিনই পৃথিবী
লয় পাবে। আল্লাহ পাক হযরত আদম (আঃ) কে পয়দা করে তাকেঁ চির সুখের স্থান বেহেশতে
দাখেল করেছেন এবং এই দুনিয়াতে নির্বাসন দেওয়ার সারে তিনশ বছর কাঁদার পর এই দিনে
তাঁর তওবা কবুল করেছেন। এই আশুরার দিনেই আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস (আঃ) কে মাছের পেট
হতে মুক্তি দিয়েছিলেন। এই দিনে Read More...>>>
এই
মাসের চাঁদ উঠিবামাত্র সেই রাত্রে ৬ রাকাত নফল নামাযের প্রথম বারে ৪ রাকাত এবং
দ্বিতীয়বারে দু'রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার এবং সূরা এখলাছ
তিন তিন বার পড়ে নামায শেষে দোয়া করবে আল্লাহ্ তা'আলা মেহেরবানী করে আমলকারীকে
সমস্ত রোগ-ব্যাধি হতে নিরাপদে রাখিবেন। এই
মাসের চাঁদ দেখার রাত্রে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে যেই ব্যক্তি চার রাকাত
নমাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার ও সূরা এখলাছ ১১ বার পড়ে নামায শেষে
১০০০ বার এই দরূদ শরীফ Read More...>>>
রবিউল আউয়াল আরবি চান্দ্র মাসগুলির তৃতীয় মাস। ফযীলত এবং বুজুরগীর দিক দিয়ে
এই মাসের একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। এই মাস রহমত ও বরকতের মাসও বটে। এই মাসের
আগমনের সাথে সাথে আল্লাহ্ তাআলার রহমত ও করুণা অজস্র ধারায় বর্ষিত হতে থাকে। এই
মাসের আগমণে বিশ্বের আঠারো হাজার মাখলুকাত যেমন প্রফুল্ল ও আনন্দিত হয় তেমনি
বিষাদ সাগরেও নিমজ্জিত হয়। বিভিন্ন
কেতাব থেকে জানা যায় যে, এই চান্দ্র মাসের....... Read More..>>
আরবী চান্দ্র মাসের ৪র্থ মাস
হলো রবিউস্সানী মাস। এর অর্থ হচ্ছে দ্বিতীয় বসন্ত মাস। প্রথম বসন্ত মাস হলো রবিউল
আওয়াল মাস। রবিউস্সানী মাসের ফযীলত এবং বরকত অন্যান্য মাসের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
এ মাসেও নফল নামায রোযা ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগীতে খুবই সওয়াব আছে। আমরা জাগতিক ব্যাপারে তথা ঘর-সংসার, কাজ-কর্ম, চাকরি-বাকরি,
ব্যবসা-বাণিজ্য, আহার-বিহারে এত ব্যস্ত ও নিমগ্ন থাকি যে, নফল ইবাদত করা তো দূরের
কথা, ফরয-ওয়াজিব ইবাদতগুলোও অনেক সময় Read More...>>>
আরবী
মাসের পঞ্চম মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল মাস। এ মাসের ফযীলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীস
শরীফ মারফত অনেক কিছু জানা যায়। অন্যান্য চান্দ্র মাসের মত এ মাসের ফযীলত ও
বুজুর্গী কোন অংশে কম নয়। এ মাসেও ইবাদত-বন্দেগী করে এ মাসটিকে স্মরণে রাখা আমাদের
একান্ত কর্তব্য। তাই বিভিন্ন কিতাব থেকে ফযীলতপূর্ণ কয়েকটি ইবাদতের কথা উল্লেখ করা
হলোঃ হাদীস শরীফে বর্ণীত আছে-যে দিন সন্ধ্যায় জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ
দৃষ্টিগোচর হবে সে রাত্রে মাগরিবের ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ৪ (চার) রাকাত নফল
নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা এখলাছ তিন বার করে পড়ে দোয়া ও
মুনাজাত করলে Read More...>>>
জমাদিউস্ সানী চান্দ্র মাসের
ষষ্ঠ মাস। এ মাস বছরের অর্ধেক সূচিত করে। এই মাসও অত্যধিক ফযীলতের মাস। এই মাসে
গরীব মিসকিনদিগকে দান খয়রাত ও অন্ন ভোজের ব্যবস্থা করা অত্যধিক সওয়াবের কাজ ও
রুজি-রোজগার বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। বুজুর্গানে দীন এ মাসে বেশি বেশি করে আমল
করতেন। এ মাসে Read More...>>>
রজব মাসের পরবর্তী মাস হলো শা’বান মাস। এর পর পরই
আগমন হয় রমযান মাসের। রমযান মাস যেন মহাপবিত্র ও মহা সম্মানিত অতিথি মাস। আর রজব
এবং শা’বান মাসদ্বয় যেন রমযানের আগমন-অপেক্ষারত দুই বার্তাবাহক মাস। রাজা ও
বাদশাহগণের কোথাও আগমনের পূর্বে যেমন তাদের উপযুক্ত স্থান ও অবস্থানের ব্যবস্থা
করার জন্য পূর্বাহ্নে বিশেষজ্ঞ প্রেরণ করা হয়ে থাকে, পবিত্র রমযান মাসের আগমনের
পূর্বেও তেমনি রজব ও শা’বান মাসদ্বয়কে পাঠানো হয়ে থাকে। রাজা ও বাদশাহগণের
পূর্বাহ্নে প্রেরিত বিশেষজ্ঞগণের Read More...>>>
আরবী অষ্টম চান্দ্র মাস হল শাবান মাস। এ মাসের
পবিত্রতা ও মর্যাদা অত্যধিক বলে এ মাসকে শাবানুল মুআজ্জম বলা হয়। মোমীন
মুসলমানগণের নিকট এ মাসটির মর্যাদা অতিশয় স্মরণযোগ্য। কেননা, এ মাসের ১৪ তারিখ
দিবাগত রাত্রে এ বিশ্ববাসী আঠার হাজার সৃষ্ট জীবের আগামী ReadMore...>>>
আরবী চান্দ্র মাসের নবম মাস হচ্ছে
রমযানুল মোবারক বা পবিত্র রমযান মাস। ইসলামী চান্দ্র মাসগুলোর মধ্যে রমযান মাস এক
বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। এ মাসের ইবাদত-বন্দেগীর সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায়
সত্তর গুণ অধিক। এ মাসটি হলো সংযম, ত্যাগ-তিতীক্ষা ও পাপ থেকে মুক্ত হবার মাস। এ
মাসে রোযা রাখা প্রত্যেক বালেগ-বালেগা, পুরুষ-স্ত্রী নির্বিশেষে সবার উপর ফরয। এ মাসে একটি রাত্রি আছে যা হাজার মাস
থেকেও উত্তম। এ রাত্রেই মহান আল্লাহ পাক তাঁর অমূল্য বাণী, মানবজাতির ইহকাল ও
পরকাল উভয় জীবন সুন্দর ও সুখের তৈরি করার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ Read More...>>>
অন্যান্য মাসের মত এটিও একটি আরবী চান্দ্র মাস।
সংখ্যার হিসেবে দশম মাস। রমযান মাসের ২৯ বা ৩০ দিনের সূর্যো ডোবার সঙ্গে সঙ্গে এ
মাসের প্রারম্ভ। পরের দিন "ঈদুল ফিতর"-এর দিন, বিশ্ব মুসলিমের খুশীর
দিন। ধনী গরীবকে সহানুভূতি ও সাহায্য তথা "ফিত্রা" দানের দিন। এটা
ভোজের দিবসও বটে। বছরে যে কয়দিন রোযা রাখা নিষেধ, তন্মধ্যে এটি একটি। মুসলিম
বিশ্বে আদর্শের দিক হইতে এই দিনটি অতি পবিত্র ও সম্মানিত। এ মাসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, এ মাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দাকে বিপথগামী
করার জন্য বিতাড়িত শয়তান সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে এবং রমযান মাসের পরাজয়ের
প্রতিশোধ গ্রহণে বদ্ধপরিকর হয়। তাই প্রত্যেক ঈমানদার মোমীনকে এ মাসে বিশেষ সতর্কতা
অবলম্বন করা দরাকার। অন্যথায়, যে কোন মুহুর্তে পদস্থলন হতে পারে। সে পদস্থলন থেকে
বাঁচতে হলে কিছু ইবাদত বন্দেগীর প্রয়োজন, যাতে শয়তানের Read More...>>>
আরবী বর্ষপঞ্জীর মধ্যে জিলক্বদ
মাস হচ্ছে একাদশতম। আরেক কথায় একে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের পূর্ব আগামী মাসও বলা হয়।
মুসলিম বিশ্বের যাঁরা হজ্জ্ব ব্রত পালনের জন্য মক্কানগরীতে যাবেন তাদেঁর জন্য
প্রস্তুতি ও হুসিয়ারীর মাসও বটে। এ বিবেচনায় এ মাসের ফযীলত ও বুজুর্গী অত্যন্ত
অধিক। সম্মানিত মাস চতুষ্টয়ের মধ্যে এ মাসটিও একটি। তাই বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে এখানে
কয়েকটি ইবাদতের বর্ণনা দেয়া গেল। আশা করি মো'মীন মুসলমান ভাই ও বোনেরা অন্যান্য
মাসের মত এ মাসেও ইবাদত-বন্দেগী করে Read More...>>>